কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার দায়ে শিখা খাতুন নামে এক নারীর আমৃত্যু কারাদণ্ড ও পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার দুপুর ১ টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোঃ তাজুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
কুষ্টিয়া আদলতের পিপি এ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী বলেন, আদালত রায়ে আসামিদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণা শেষে আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছেন ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ এলাকার মান্নানের মেয়ে শিখা খাতুন। আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হলেন, দৌলতপুর উপজেলার ভুরকা গ্রামের মৃত জলিল সর্দ্দারের ছেলে সর্দ্দার, শওকত সর্দ্দারের ছেলে মজনু সর্দ্দার, মৃত জলিল সর্দ্দারের ছেলে মান্নান সর্দ্দার, ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ এলাকার রাজন বিশ্বাসের স্ত্রী আজমিরা খাতুন ও সাধু।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসের ৬ তারিখ রাতে রায়হান তার পিতার বাড়ি থেকে অজ্ঞাত নামা এক মোবাইল ফোন পেয়ে বন্ধুর বাড়িতে যাচ্ছে বলে তার মাকে জানায়। পরের দিন সকালে তার ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ পান তার মা মুক্তি খাতুন। এরপর বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে জুনিয়াদহ পালপাড়া মাঠে মরদেহ পাওয়া যায় তার। রায়হানের পুরুষাঙ্গ এবং অন্ডকোষে জখম করে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ এনে পিতা শহিদুল ইসলাম ভেড়ামারা থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা করেন।
পরবর্তীতে পুলিশের তদন্তে আসামিদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। পিপি অনুপ কুমার বলেন, রায়হানের সাথে শিখা খাতুনের দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রায়হানের পরিবার এ সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় শিখা খাতুনের পরিবারের সদস্যরা কৌশলে ডেকে রায়হানকে হত্যা করে।